মো. শাহ্ জামাল,নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা আতংকের মধ্যেও জামালপুরের মেলান্দহের ২৯৬টি কমিউনিটি ক্লিনিকের (সিএইচসিপি) স্বাস্থ্যকর্মীরা চরম ঝুঁকির মধ্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। এই স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশে কাজ করার জন্য পিপিই’র ন্যায় অন্যান্য সার্পোটিং নেই। তবুও সেবা প্রদানে থেমে নেই এই স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ওদিকে হাসপাতালে রোগির সংখ্যা কমে যাওয়ায় রোগিরা চিকিৎসা নিতে ভীড় জমাচ্ছেন স্থানীয়ভাবে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে। সারাদেশ লকডাউনে থাকায় ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের লোকজন এখন গ্রামের বাড়িতে অবস্থান নেয়ায় সিএইচসিপিতে রোগির সংখ্যা বাড়ছে।
আরও পড়ুন : জামালপুরে সোহাগ হত্যা কান্ডের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
সিএইচসিপি’র স্বাস্থ্যকর্মী জুলেখা, ঈশিতা আক্তার জানান,দৈনিক গড়ে অর্থ শতাধিক রোগী আসতো। আগের তুলনায় রোগী বাড়ছে। করোনা মোকাবেলায় বরাদ্দকৃত সরকারি ওষুধ ছাড়া আমাদের সুরক্ষায় গ্লাভস, পিপিই, মাস্ক এবং অন্য কোন সাপোর্ট নেই। গ্রামের মধ্যে সর্দি-কাশি-জ্বরঠান্ডা জণিত রোগিই বেশি আসে। এগুলো করোনা রোগের লক্ষণ মনে করে চিকিৎসা দিতেও সাহস পাচ্ছি না।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় সিএইচসিপি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন এবং মেলান্দহ শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুল্লাহ জানান,মেলান্দহে ৪১টি, জেলায় ২৯৬টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১২৪৩টি সিএইচসিপির স্বাস্থ্যকর্মীরা চরম ঝুঁকির মধ্যে আমরা কাজ করছি। জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে করোনা মোকাবেলায় আমাদের সাপোর্ট চাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক স্বাস্থ্যকর্মী এবং গ্রামের মানুষদের সমস্যা সমাধানে একমত পোষণ করে বলেন,আমরা এগুলোর সাপোর্ট দিতে পারছি না। আশা করি এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।
এস আর/জামালপুর লাইভ